ডাটাবেজ কি?
ডাটাবেজ :
ডাটা শব্দের অর্থ হচ্ছে তথ্য বা উপাত্ত এবং বেজ শব্দের অর্থ হচ্ছে ঘাঁটি বা সমাবেশ। শাব্দিক অর্থে ডাটাবেজ হচ্ছে কোনো সম্পর্কিত বিষয়ের উপর ব্যপক তথ্য বা উপাত্তের সমাবেশ। আমাদের চারপাশে অজস্র তথ্য বা উপাত্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তবে এ সমস্ত তথ্যের সমাবেশকে ডাটাবেজ বলা যাবে না।
কারণ ডাটাবেজ হচ্ছে সেই সকল ডাটা বা তথ্যের সমষ্টি যাদের পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে ডাটাবেজের অনেক উদাহরণ আছে। যেমন- কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের তথ্যসমূহ, ভোটার তালিকায় সংরক্ষিত ভোটারদের তথ্যসমূহ ইত্যাদি। কোনো ডাটাবেজের আওতায় এক বা একাধিক ডাটা টেবিল, কোয়েরি, ফর্ম, রিপোর্ট, ম্যাক্রো, মডিউল ইত্যাদি ফাইল থাকতে পারে। ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হচ্ছে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত তথ্য এবং সেই তথ্য পর্যালোচনা করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রেগ্রামের সমষ্টি। পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এ তথ্যকে বলা হয় ডাটাবেজ। এ ধরনের ডাটাবেজে কোনো প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে ডাটাবেজে তথ্যাবলি সংরক্ষণ সহজতর করা এবং তা ব্যবহারে সহায়তা প্রদান করা। এক কথায় ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ডাটা তৈরি, অ্যাকসেস এবং তা রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে। বর্তমানে অনেক ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটারে ব্যবহার করা হয়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:
• মাইক্রোসফট অ্যাকসেস।
• মাইক্রোসফট এসকিউএল সার্ভার
• ওরাকল
• সাইবেজ
• ডিবেজ
• ফক্সপ্রো
• বেজ ইত্যাদি
• ফাইল মেকার
• SQL Server Express
• InterBase
• DATACOM/DB
ডাটাবেজ এর কাজ কি?
ডাটাবেজের প্রয়োগক্ষেত্র এবং ব্যবহারের সুবিধা :
দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটার নির্ভর তথ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে শিল্প-কারখানা, ব্যাংক-বীমা, ব্যবসা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব-নিকাশ, আয়-ব্যয় হিসাব, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপাত্ত সংগ্রহ ইত্যাদি কাজ এবং শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, সামাজিক ও রাজনৈতিক গবেষণা এবং ভোটার তালিকা প্রকাশ ইত্যাদি কার্যাবলি সম্পাদন করা যায় ।
ডাটাবেজ সফটওয়্যার ব্যবহারে নিম্নবর্ণিত সুবিধা পাওয়া যায়:
• বিভিন্ন ধরনের টেবিল এবং ডাটাবেজ তৈরি করা যায় যা অসংখ্য টেবিলের সাথে পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত। হাজারো উপায়ে বিপুল পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ করা যায় । কাক্ষিত যে কোনো তথ্যকে খুজে এনে দেখা বা প্রিন্ট করা যায় ।
• অসংখ্য আকৃতি ফরম্যাটের রিপোর্ট এবং লেবেল তৈরি করে প্রিন্ট করা যায়।
• ডাটাবেজের নিউমেরিক উপাত্তগুলোর গাণিতিক ক্রিয়াকলাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সম্মত হয়। রিপোর্টে পছন্দমতো গ্রাফ, চার্ট, এবং ছবি সংযোজন করা যায় ।
• ডাটার বানান ও সংখ্যার ভুল অনুসন্ধান ও সংশোধন । নতুন ডাটা রেকর্ড সংযোজন এবং অপ্রয়োজনীয় ডাটা/রেকর্ড বিয়োজন।
• ভবিষ্যৎ প্রয়োজনে ডাটাবেজ আপডেট রাখা ইত্যাদি।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন