মেইনফ্রেম কম্পিউটার কি
সুপার কম্পিউটারের চেয়ে তুলনামূলক কম শক্তিশালী কম্পিউটারকে মেইনফ্রেম কম্পিউটার বলে।
আকার:
- সুপার কম্পিউটারের চেয়ে ছোট এবং মাইক্রো কম্পিউটার থেকে বড়। ক্ষমতা; তথ্য এবং ডাটা প্রসেসিং ক্ষমতা সাধারণ কম্পিউটারের চেয়ে অনেক বেশি।
- মেইনফ্রেম কম্পিউটারে ‘টাইম শেয়ারিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
সুবিধা:
- সবধরনের পেরিফেরাল ব্যবস্থা (যেমন:ইনপুট যন্ত্র, আউটপুট, সেকেণ্ডারি মেমোরি), হাই-লেভেল ভাষা ও সফটওয়্যার ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
- টার্মিনাল (কম্পিউটার/ডাম্প টার্মিনাল) যুক্ত করে একই সময়ে একাধিক মানুষ একই ধরনের কাজ করতে পারে।
- বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম একই সময় কার্যরত থাকতে পারে।
ব্যবহার:
তথ্য এবং ডাটা প্রসেসিং ক্ষমতা বেশি হওয়ায় বড় বড় সংস্থার (যেমন: অফিস-আদালত, শিল্প ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বীমা ইত্যাদি) উচ্চতর জটিল বিষয়াদির ফলাফলের জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন: শুল্ক, গ্রাহক পরিসংখ্যান এবং এন্টারপ্রাইজ সংস্থান পরিকল্পনা হিসাবে বাল্ক ডেটা প্রক্রিয়াকরণ, লেনদেন প্রক্রিয়াকরণ ইত্যাদি।
বাংলাদেশে স্থাপিত প্রথম মেইনফ্রেম কম্পিউটার হলো: IBM-1620 মডেলের মেইনফ্রেম কম্পিউটার। বর্তমানে এটি সংরক্ষিত আছে: জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে (আগারগাঁও, ঢাকা)।
উদাহরণ: IBM-4300, UNIVAC-1100, CYBER-170 ইত্যাদি।
সুপার কম্পিউটারের সঙ্গে মেইনফ্রেম কম্পিউটারের পার্থক্য:
- সুপার কম্পিউটার একটি নির্দিষ্ট কাজ সর্বোচ্চ গতিতে করতে সক্ষম। কিন্তু মেইনফ্রেম কম্পিউটার একসঙ্গে অনেক বেশি কাজ করতে সক্ষম।
0 comments:
Post a Comment