কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ
মাইক্রোকম্পিউটার বা ডেস্কটপ কম্পিউটার, নোটবুক এবং ল্যাপটপসহ সকল ধরনের কম্পিউটারের সঠিক ব্যবহার, পরিচর্যা ও ট্রাবলশুটিং করা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ইনস্টল এবং আন-ইনস্টল করাকে কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ বলা হয়। কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথা-
১। হার্ডওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণ (Hardware Maintenance) ও
২। সফটওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণ (Software Maintenance)
কম্পিউটার সিস্টেমের বিভিন্ন ধরনের হার্ডওয়্যারসমূহ রক্ষণাবেক্ষণের পদ্ধতিকেই বলা হয় হার্ডওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণ। মাইক্রোকম্পিউটারের প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারসহ অন্য সফটওয়্যারগুলো সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজন যথার্থ ও সঠিক হার্ডওয়্যার প্রয়োজন। সামঞ্জস্যপূর্ণ হার্ডওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারসহ অন্যান্য সফটওয়্যার পরিচালনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া কম্পিউটারের স্পিড অনেকাংশে নির্ভর করে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের ওপর। অধিকাংশ মাইক্রোকম্পিউটার সিস্টেমকেই নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের মাধ্যমে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে দ্রুত নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। প্রতিনিয়ত নিয়ন্ত্রিত রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবহারব্যবস্থাটি কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন হার্ডওয়্যারকে ডেটা নষ্ট বা হারিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। তাই একটি কম্পিউটার সিস্টেমকে সুচারুভাবে পরিচালনা করতে হলে সঠিকভাবে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন। সঠিকভাবে হার্ডওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণের ফলে কম্পিউটার সহজে নষ্ট হয় না, বেশিদিন নিরাপদে চলে, কম্পিউটার পরিচালনার মোট খরচ কমে যায়, উপাত্তসমূহ সহজে হারিয়ে যায় না এবং আনুষঙ্গিক হার্ডওয়্যার যন্ত্রপাতিসমূহ বেশিদিন টিকে থাকে। একটি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারসমূহকে সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বা নিয়ামকগুলোর প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ রাখতে হবে-
১। তাপমাত্রা (Temperature)
২। কম্পিউটার চালু ও বন্ধ করা (Turning the Computer On and Off)
৩। বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা (Plugging in the System)
৪। ময়লা ও দূষণ (Dust and Pollution)
৫। নিয়মিত প্রতিরক্ষামূলক রক্ষণাবেক্ষণ (Preventive Maintenance) ইত্যাদি।
0 comments:
Post a Comment